Advertisement

অনলাইনে ইনকাম করা নিয়ে একসময় বেশিরভাগ মানুষই সন্দেহপ্রবণ ছিল। কিন্তু এখন প্রায় সকলেই বিশ্বাস করতে বাধ্য যে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়। শুধু ইনকাম নয় বরং অন্য যে কোন পেশা বা ব্যবসার থেকে অনেক বেশি পরিমাণও আয় করা যায়।

আমি প্রায় ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে অনলাইনে ব্লগিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছি। তাই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করব কিভাবে অনলাইন থেকে আয় করা যায় তার কয়েকটি সেরা উপায় নিয়ে।

আমি যে উপায়গুলো লিখতে যাচ্ছি তা নিয়ে যে কোন প্রশ্ন ও সাহায্যের জন্য অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমি যথাসম্ভব সাহায্য করব।

অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায়

১. ব্লগিং করে আয় করুন

ব্লগিং হচ্ছে কোন ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে মানুষ অনলাইনে সার্চ করে এমন কোন বিষয়ে লেখালেখি করা। বর্তমানে মানুষ অনেক সমস্যা নিয়ে অনলাইনে সার্চ করছে। সেইসব বিষয়ে যদি আপনার ভাল জানাশোনা ও আগ্রহ থাকে আপনি এসব বিষয়ে কনটেন্ট লিখে তথ্য শেয়ার করতে পারেন ব্লগের মাধ্যমে।

যখন আপনার ব্লগে অনেক ভিজিটর আসবে, আপনি ব্লগে গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্য বিজ্ঞাপন দেখানো, এফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরড কনটেন্ট, প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

আমার মতে অনলাইনে ইনকাম করার সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে ব্লগিং কারণ এটি একটি ব্লগিং হচ্ছে একটি প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া। তাছাড়া এটি মহিলাদের জন্য ঘরে বসে আয় করার জন্য সর্বোত্তম উপায়।

১টি ব্লগের মাধ্যমে আপনি অনেকভাবে টাকা আয় করতে পারবেন। তাই ব্লগিংকে আমি ১ নম্বরে রেখেছি।

Advertisement

কোন কিছু শেখা-শেখানো, লেখা-পড়া যতদিন থাকবে ব্লগিংও ততদিন থাকবে। ব্লগিংয়ের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অনেক কিছুতে আপডেট হয়েছে, ভবিষ্যতেও আপডেট হবে।

এখন আমাদের দেশের অনেক মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও, ২৫% মানুষও ভালভাবে Google এ সার্চ করতে শিখেনি। আবার, বাংলা ভাষায় এখনো ইন্টারনেটে অনেক বিষয়েই ভাল কনটেন্ট নাই। তাই বাংলায় ও ব্লগিং করা যেতে পারে, নিকট ভবিষ্যতে যার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।

কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন

প্রথমে ব্লগিংয়ের জন্য কোন একটি টপিক বাছাই করুন। এবার টপিক অনুসারে পছন্দ মত একটি ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করুন। Google এর ফ্রি Blogger.com বা Hosting ক্রয় করে WordPress এর মাধ্যমে খুব সহজেই একটি ব্লগ তৈরি করতে পারেন।

আমি পরামর্শ দিব, যদি আপনি ২-৩ হাজার টাকা ইনভেস্ট করতে পারেন তাহলে নিজস্ব হোস্টিং ক্রয় করে WordPress এর মাধ্যমে ব্লগ তৈরি করেন। এতে আপনার কাজ অনেক সহজ হবে, সময় বাঁচবে এবং সাইটের মালিকানা পুরোপুরি আপনারই থাকবে।

Advertisement

২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অন্য কারো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস আপনি প্রেমোট করার মাধ্যমে বিক্রয় করবেন। আপনার প্রোমোট করার বিক্রয়মূল্যের একটি অংশ আপনি অ্যাফিলিয়েট কমিশন হিসেবে আয় করবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
Affiliate Marketing Cycle, Source- Neil Patel Digital

সবচাইতে জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম হচ্ছে Amazon Affiliate । Amazon সারা বিশ্বে তাদের প্রোডাক্ট অনলাইনে বিক্রয় ও ডেলিভারি করে থাকে। Amazon Affiliate Program এ যুক্ত হয়ে আপনি তাদের প্রোডাক্ট আপনার ব্লগের ভিজিটরদের কাছে প্রোমট করতে পারেন। যখন কোন ভিজিটর আপনার রেফারাল লিংক থেকে পন্য ক্রয় করবে আপনি নির্দিষ্ট কমিশন আয় করবেন।

Advertisement

এছাড়া, বিভিন্ন কোম্পানী এখন অ্যাফিলিয়েটের মাধ্যমে তাদের বিক্রয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড যে কোন কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করে তাদের প্রোডাক্ট প্রমোশন করতে পারেন।

অনলাইনে আয়ের অন্যতম একটি উপায় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়। ব্লগিং, সোশাল মিডিয়া ও ইউটিউবের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট করা যায়।

কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন

প্রথমে আপনার আইডিয়া আছে এবং Low Competitive একটি প্রোডাক্ট ক্যাটাগরি খুঁজে বের করতে হবে। তারপর সেই প্রোডাক্ট বা ক্যাটাগরি রিলেটেড একটি ব্লগ তৈরি করুন। ব্লগের পাশাপাশি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবের মাধ্যমেও অ্যাফিলিয়েট করতে পারবেন।

ব্লগে নিয়মিত আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড আর্টিকেল পোস্ট করুন। ব্লগ পোস্টগুলোর এসইও করুন। যখন আপনার ভিজিটর আসতে শুরু করবে, তখন আপনার পছন্দের যে কোন কোম্পানীর Affiliate Program এ যুক্ত হয়ে পন্য প্রমোশন শুরু করতে পারেন।

আরও পড়ুন: মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়

৩. ই কমার্স বা অনলাইনে পন্য বিক্রয়

আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে পন্য বিক্রয় করে ভাল টাকা আয় করতে পারবেন। অনলাইনে আপনি সারা পৃথিবির মানুষের কাছেই পন্য বিক্রয় করতে পারেন। এতে আপনার বিক্রয় ও লাভের পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে।

অনলাইনে অসংখ্য কাস্টমার হয়ত আপনার পন্য বা সেবা নিতে চায়, কিন্তু আপনি অনলাইনে না আসার কারণে তাদের রিচ করতে পারছেন না। তাই অনলাইনে পন্য বিক্রয় চালু করলে আপনার বিক্রয় স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুন বেশি কাস্টমার পাবেন।

নিজে ই কমার্স সাইট তৈরি করে অনলাইনে পন্য বা সেবা বিক্রয় শুরু করতে পারেন। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি Payment Gateway এবং ডেলিভারি সেবা। বাংলাদেশে অনেকগুলো অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে আছে যেমন, SSLcommerz, ShurjoPay, Aamarpay, PortWallet ইত্যাদি। এরপর ডেলিভারী সেবা হিসেবে সবচেয়ে ভাল REDX।

তাছাড়া নিজে ই কমার্স সাইট তৈরি না করে, Facebook Page ও Facebook Marketplace এ আপনার প্রোডাক্ট বিক্রয় করতে পারেন। Daraz এ একটি সেলার একাউন্ট করে দারাজে ও আপনার পন্য বিক্রয় করতে পারবেন। এখানে পন্যের পেমেন্ট এবং ডেলিভারী দারাজ নিজেই করবে। তার বিনিময়ে দারাজ আপনার বিক্রয়ের উপর কমিশন চার্জ করবে।

আরও পড়ুন: অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম

পন্য কোথা থেকে সোর্স করবেন

পন্য সোর্স করতে পারেন চায়নার Alibaba.com থেকে। আপনাকে পন্য আমদানির কোন লাইসেন্স, এলসি কিছুই করতে হবে না। বাংলাদেশে অনেক আমদানিকারক আপনার পক্ষে আলিবাবার যে কোন সাপ্লায়ারের কাছ থেকে পন্য সংগ্রহ করে আপনাকে ডেলিভারী করবে। তারা পন্যের শুল্ক-ভ্যাট ও তাদের চার্জ হিসেবে কেজি প্রতি একটি খরচ চার্জ করবে।

আমি এমন ২টি আমদানিকারকের মাধ্যমে পন্য সোর্স করেছি, WholesaleCart এবং Ali2BD। আপনি চাইলে তাদের সার্ভিস নিতে পারেন।

৪. ডিজিটাল কনটেন্ট ও প্রোডাক্ট তৈরি

বর্তমান যুগে সবচেয়ে বড় ব্যবসা হচ্ছে ইনফরমেশন এবং কনটেন্ট নিয়ে। কনটেন্ট কি? আপনি এখন যে লেখাটি পড়ছেন এটা ও একটি কনটেন্ট। YouTube এ যে ভিডিও দেখেন এগুলোও কনটেন্ট।

অন্যদিকে ডিজিটাল প্রোডাক্ট হচ্ছে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস যেটা আমরা হাতে স্পর্শ করতে পারি না। Audio Book, Music, Graphic Design ও Infographic এক ধরনের ডিজিটাল প্রোডাক্ট।

ভাল স্মার্টফোনের মাধ্যমেও আপনি অনেক ধরণের কনটেন্ট তৈরি করে আয় করতে পারেন। যেমন, Photography, YouTube Shorts, Blog Content Writing ইত্যাদি। দেখুন মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়

বিভিন্ন সাইটে আপনি একাউন্ট করে এসব ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রয় করতে পারেন। যেমন ছবি বিক্রয়ের জন্য Shutterstock, iStock Photo ডিজাইন বিক্রয়ের জন্য Envato রয়েছে।

কিছু লাভজনক ডিজিটাল কনটেন্ট ও প্রেডাক্ট

  • কোর্স, টিউটোরিয়াল বা গাইড
  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • ফটোগ্রাফি
  • ইবুক
  • মিউজিক
  • রিসার্চ ইনফরমেশন
  • কম্পিউটার/ মোবাইল বা ওয়েব এপ্লিকেশন

৫. ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করে আয়

ফ্রিল্যান্সিং বলতে অনেকে মনে করে অনলাইনে কাজ করা। ব্যাপারটা অনেকের কাছে পরিস্কার নয়। প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে ধারণা নেয়া যাক।

Freelancing হচ্ছে এক ধরনের চাকরী যেখানে আপনাকে স্থায়ীভাবে কোন বেতনে নিযুক্ত করা হয় না। শুধুমাত্র কোন একটি নির্দিষ্ট কাজ বা প্রজেক্টের জন্য চুক্তিভিত্তিক কাজের জন্য নিয়োগ করা হয়। যিনি কাজে নিয়োগ করবে তাকে Buyer এবং যিনি কাজ করবেন তাকে Contractor/Freelancer বলা হয়।

অনলাইনে কিছু Marketplace আছে যেমন Upwork.com, Freelancer.com যেখানে বায়াররা বিভিন্ন Job পোস্ট করে। এসব মার্কেটপ্লেসে আপনার দক্ষতা অনুসারে একটি প্রোফাইল করে কাজ পাওয়ার জন্য Bid করতে হয়। এছাড়া আছে Fiverr.com যেখানে আপনি ছোট খাট কাজ অনুসারে Gig পাবলিশ করতে পারবেন। Buyer রা আপনার Gig অর্ডার করবে, এবং তারপর আপনি তাদের সার্ভিস ডেলিভারি করবেন।

মার্কেটপ্লেসগুলো বায়ার থেকে পেমেন্ট কালেক্ট করে আপনাকে পরিশোধ করবে। যখন বায়ার জব দেয় তখনি মার্কেটপ্লেস আপনার কাজের অগ্রিম পেমেন্ট নিয়ে নেয়, আপনি সফলভাবে কাজ ডেলিভারি করার পরে Marketplace আপনার একাউন্টে পেমেন্ট করবে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন দক্ষতার প্রয়োজন হয়

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নয় বরং কাজের একটি ধরণমাত্র। এখানে বর্তমানে চাহিদা আছে এমন সব কাজের দক্ষতা থাকলে যে কোন কাজই করা যাবে। যেমন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডিজাইন, সফটওয়ার ও অ্যাপ ডেভলপমেন্ট, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এসব কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং নতুনদের জন্য কেমন হবে

বর্তমানে এই ফিল্ডে কাজের চেয়ে কাজ করার লোক অনেকে বেড়ে গেছে। তাই এখানে অনেক কম্পিটিশন, শুধুমাত্র এক্সপার্ট ও অভিজ্ঞরাই এখানে কাজ করতে পারবে। একদম নতুনদের মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নেয়া অনেক কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।

তবে নিত্য নতুন নতুন কাজের চাহিদা বাড়ছে। নতুন যে কাজের চাহিদা বাড়ছে সেসব স্কিল অর্জন করতে পারলে, নতুনরাও কাজ পাবে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে আরও একটি সমস্যা এখানে নিজের বলে কিছু নেই। চাকরীর মত, কোম্পানী আর বায়ারের ডিসিশনের উপরে আপনার কিছু করার থাকবে না।

সবচেয়ে ভাল হয়, আপনার যদি কোন স্কিল থাকে আপনি নিজে কাস্টমার রিচ করে সরাসরি সার্ভিস প্রোভাইড করতে পারেন। এতে আপনার পরিচিতি ও কানেকশন বাড়বে। এটা Freelancing মডেল নয় বরং Business Model, তাই এখানে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন।

৬. অনলাইন কোর্স বা শিক্ষকতা

প্রযুক্তির যুগে নিত্য নতুন দক্ষতার প্রয়োজন হচ্ছে। যদি আপনার কোন বিষয়ে ভাল দক্ষতা থাকে আপনি তা অন্যদের শেখানোর মাধ্যমে ভাল আয় করতে পারেন। অনলাইনে টিউশন করানোর মাধ্যমেও অনেক উপার্জন করতে পারবেন।

অফলাইন টিউশনে আপনার স্টুডেন্ট খুবই লিমিডেট ২০/৩০ জন। কিন্তু অনলাইনে আপনি একসাথে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে পড়াতে পারেন Recorded Class বা YouTube Live ক্লাসের মাধ্যমে।

আপনি খুব সামান্য ফি নিয়ে পড়ালেও বিপুল স্টুডেন্টের কাছ থেকে অনেক মোটা অংকের টাকা আয় করা যাবে। ধরুন আপনি একাউন্টিং, গণিত বা ইংরেজিতে অনেক ভাল। চাইলেই আপনি ঘরে বসে লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে শেখাতে পারেন। আপনি ভিডিও রেকর্ড করে কোর্স তৈরি করেও বিক্রয় করতে পারেন।

ভবিষ্যতে অনলাইন লার্নিংয়ের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পাবে। তাই এখন থেকেই কেউ চাইলে এটা শুরু করতে পারে।

কিভাবে অনলাইন কোর্স বা শিক্ষকতা শুরু করবেন

অনলাইনে মূলত ২ ভাবে আপনি শিক্ষকতা বা কোন কোর্স করাতে পারেন,

  1. থার্ড পার্টি কোন অ্যাপ বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লাইভ মিটিংয়ের মাধ্যমে। যেমন, ফেসবুক গ্রুপ মিটিং ‍Zoom Meeting, YouTube Live ইত্যাদি।
  2. অন্যটি হতে পারে আপনি ক্লাস আগে থেকে ভিডিও রেকর্ড করে আপনার নিজস্ব সাইটে আপলোড করবেন। ছাত্র-ছাত্রীরা কোর্সের জন্য পেমেন্ট করলেই ক্লাসের ভিডিওগুলো একসেস করতে পারবেন।

৭. ফেসবুক থেকে আয়

ফেসবুক থেকেও বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়। বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২.৯৩ বিলিয়ন। ফেসবুক আগে শুধু বিনোদনের জায়গা থাকলেও বর্তমানে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ও টাকা ইনকামের একটি মাধ্যম।

ফেসবুক শুধুমাত্র ঘরে বসে সময় নষ্টের মাধ্যম নয় বা শুধু নিজের ছবি পোস্ট বা অন্যের ছবিতে কমেন্ট করে, নিউজফিড ঘুরে ঘুরে আজেবাজে গল্প পড়ার নয়। এখন ফেসবুক অনেকের ইনকাম সোর্স ও বটে।

ফেসবুক থেকেও বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়। আপনি ফেসবুক পেইজ, ভিডিও, ইভেন্ট, মার্কেটপ্লেস থেকে বিভিন্ন ভাবে আয় করতে পারবেন। ফেসবুক ব্যবহার করে কিভাবে ঘরে বসেই আয় করতে পারেন তার বিস্তারিত জানতে পড়ুন- ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়।

শেষকথা

এছাড়াও অনলাইনে আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। আমি শুধুমাত্র সহজ ও সবচেয়ে ভাল উপায়গুলো নিয়ে কথা বললাম। আপনি কি কোন না কোন উপায়ে অনলাইনে আয় করছেন? যদি করে থাকেন কমেন্টে Yes এবং না করলে No লিখে জানান।