অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় ও যেভাবে আবেদন করবেন
কিছু ব্যাংক এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা অনলাইন লোন নেওয়ার সুবিধা চালু করেছে। আসুন জানি অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় ও আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে লোন পাওয়ার অনেক ধরনের উপায় রয়েছে এবং অনলাইনে লোন নেওয়া সহজ ও অধিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন হওয়ায় এর জনপ্রিয়তাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাই আজকে আমরা অনলাইনে লোন পাওয়ার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।
অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়সমূহ
বর্তমানে বিকাশ, ঢাকা ব্যাংকের eRin অ্যাপ, ব্র্যাক ব্যাংকের সুবিধা অ্যাপ, বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের অনলাইন লোন পাওয়ার উপায় রয়েছে।
চলুন এসব অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যায়।
১. বিকাশ
অনলাইনে লোন পাওয়ার একটি সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বিকাশ। বিকাশ এবং সিটি ব্যাংক অফার করছে Digital Nano Loan by Citybank and bKash। যারা বিকাশ অ্যাপে ই কেওয়াইসি এবং বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন করেছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে লেনদেন করছে তারাই এই লোন পাবেন।
বিকাশ অ্যাপ থেকে অনলাইন লোন পাওয়ার জন্য আপনার কোনো কাগজপত্রের দরকার হবে না বা কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকাও বাধ্যতামূলক নয়।
বাৎসরিক ৯% সুদের হারে ৩ মাস মেয়াদী এই লোনে আপনারা ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন হিসেবে নিতে পারবেন এবং সিটি ব্যাংক থেকে এই অনলাইন লোন নেয়ার পর লোনের টাকা বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে পেয়ে যাবেন।
আপনার যদি ই কেওয়াইসি এবং বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন হয়ে থাকে এবং আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার বিকাশ অ্যাপ থেকেই এই অনলাইন লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং লোন অনুমোদিত হওয়ার পর লোনের টাকা আপনার বিকাশ একাউন্টে চলে আসবে।
বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করার পর ড্যাশবোর্ড থেকে লোন লেখা অপশনে ক্লিক করে আপনারা খুব সহজেই অনলাইন লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বিকাশ অ্যাপ থেকে লোনের জন্য আবেদন করার পর লোনের কিস্তির পরিমাণ এবং পরিশোধের সময় আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে। তবে আপনি যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লোনের টাকা পরিশোধ করতে না পারেন তাহলে বাৎসরিক ২% সুদের হারে আপনাকে লোন পরিশোধের বিলম্ব ফি দিতে হবে।
বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন নিলে লোনের কিস্তির টাকা আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স থেকে Automatically কেটে নেয়া হবে। তাই, কিস্তির টাকা কাটার আগে, বিকাশ একাউন্টে ব্যালেন্স রাখতে হবে।
বিকাশ অ্যাপ থেকে অনলাইন লোন পাওয়ার সকল বিস্তারিত তথ্য:
লোনের পরিমান | ৫০০ থেকে ২০,০০০ টাকা |
লোনের মেয়াদ | ৩ মাস |
সুদের হার | বাৎসরিক ৯% |
লোন পরিশোধের বিলম্ব ফি | বাৎসরিক ২% |
লোন প্রসেসিং ফি | ০.৫৭৫% ( ০.৫% + ভ্যাট ) |
লোন পরিশোধের ধরন | মাসিক |
আরও পড়ুন:
২. ঢাকা ব্যাংকের eRin অ্যাপ
অনলাইনে লোন পাওয়ার ২য় উপায় হতে পারে ঢাকা ব্যাংকের eRin অ্যাপ। সাধারণত বেতনভুক্ত চাকরিজীবী, পেশাদার, স্বল্প আয় সম্পন্ন ব্যক্তিদের ঘুরতে যাওয়া বা ছুটি কাটানো, কেনাকাটা করা, চিকিৎসা ইত্যাদির জন্য ঢাকা ব্যাংক থেকে eRin অ্যাপের মাধ্যমে সহজ শর্তে অনলাইনে পার্সোনাল লোন দেয়া হয়।
ঢাকা ব্যাংকের ই ঋণ এর মাধ্যমে লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই লোন গ্রহীতাকে ২১ বছর বয়সী হতে হবে, মাসে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা আয় করতে হবে, NID কার্ড, ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে এবং অবশ্যই আয় ও ঠিকানা প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
ঢাকা ব্যাংকের eRin অ্যাপ থেকে আপনারা সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন এবং লোনের কিস্তি ৩ মাস বা ৬ মাস মেয়াদে পরিশোধ করতে পারবেন।
আপনারা খুব সহজেই eRin অ্যাপটি ডাউনলোড করে অনলাইনে অ্যাপের মাধ্যমেই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ঢাকা ব্যাংক থেকে ই-ঋণ পাওয়ার জন্য যেসব কাগজপত্র লাগবে:
- জাতীয় পরিচয় পত্র;
- বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র;
- Bank Statement;
- বেতনের স্লিপ বা আয়ের প্রমাণপত্র।
আপনার মোবাইলে eRin অ্যাপ ডাউনলোড করার পর একটি Account Register বা আপনার ব্যাংক একাউন্ট দিয়ে লগইন করতে হবে। তারপর ড্যাশবোর্ড থেকে লোন অপশনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলোর ছবি আপলোড করে লোনের জন্য আবেদন করতে হবে।
এক নজরে ঢাকা ব্যাংকের eRin অ্যাপের মাধ্যমে লোন সম্পর্কে তথ্য:
লোনের পরিমান | ১০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা |
লোনের মেয়াদ | ৩ বা ৬ মাস |
সুদের হার | ৯% |
লোন পরিশোধের বিলম্ব ফি | ২% |
লোন প্রসেসিং ফি | ০.৫০% ( +১৫% ভ্যাট ) |
লোন পরিশোধের ধরন | মাসিক কিস্তি |
৩. ব্যাংক এশিয়া
যেকোনো বাংলাদেশী নাগরিক যার মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকা, বয়স সর্বনিম্ন ২৩ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৬৫ বছর এবং সহজ শর্তে লোন পরিশোধ করতে সক্ষম তাদেরকে ব্যাংক এশিয়া থেকে পার্সোনাল লোন অথবা অনলাইন লোন দেয়া হয়।
বাৎসরিক ১১.৪৭% সুদের হারে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৫ বছর মেয়াদী কিস্তিতে ব্যাংক এশিয়া থেকে অনলাইন লোন দেয়া হয়।
ব্যাংক এশিয়া থেকে অনলাইন লোন নেওয়ার জন্য ব্যাংক এশিয়ার ওয়েবসাইটে গিয়ে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পার্সোনাল লোনের জন্য আবেদন ফরম পূরণ করে সাবমিট করতে হবে এবং লোনের টাকা ব্যাংক এশিয়া স্মার্ট অ্যাপ থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন লোন নেওয়ার পর কেউ যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লোন পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে বাৎসরিক ২% সুদের হারে তাকে লোন পরিশোধের বিলম্ব ফি প্রদান করতে হবে।
একনজরে ব্যাংক এশিয়া অনলাইন লোনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
লোনের পরিমান | ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা |
লোনের মেয়াদ | সর্বোচ্চ ৫ বছর |
সুদের হার | বাৎসরিক ১১.৪৭% |
লোন পরিশোধের বিলম্ব ফি | বাৎসরিক ২% |
লোন প্রসেসিং ফি | ০.৫০% |
লোন পরিশোধের ধরন | মাসিক |
৪. ব্রাক ব্যাংকের “সুবিধা” অ্যাপ
অনলাইনে লোন পাওয়ার আরও একটি উপায় হলো ব্রাক ব্যাংকের “সুবিধা” অ্যাপ। ব্যাংকে না গিয়েই ব্রাক ব্যাংক এর সুবিধা অ্যাপ ব্যবহার করে যাদের খুব দ্রুত টাকার প্রয়োজন তারা এই ডিজিটাল লোন নিতে পারবে।
এক্ষেত্রে বাৎসরিক ৯% সুদের হারে ৩ থেকে ৩৬ মাসের কিস্তিতে সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।
ব্রাক ব্যাংক এর সুবিধা অ্যাপ থেকে অনলাইন লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই লোন গ্রহিতার ব্রাক ব্যাংকে একটি একাউন্ট থাকতে হবে।
আপনার যদি ব্রাক ব্যাংকে একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে আপনাকে মোবাইলে সুবিধা অ্যাপটি ডাউনলোড করে আপনার ব্যাংক একাউন্টে ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ও ডেবিট কার্ড এর তথ্য দিয়ে অ্যাপে রেজিস্টার করতে হবে।
অ্যাপের ড্যাশবোর্ড থেকে লোন লেখা অপশনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে খুব সহজেই আপনি অনলাইন লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
লোনের আবেদন করার পর সব ঠিক থাকলে খুব দ্রুত লোন অনুমোদিত হবে এবং লোনের টাকা আপনার সুবিধা অ্যাপের একাউন্টে চলে আসবে।
এভাবে ব্যাংকে না গিয়েই আপনারা খুব সহজে ঘরে বসে ব্রাক ব্যাংক এর সুবিধা অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন লোন নিতে পারবেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের “সুবিধা” অ্যাপ থেকে অনলাইন লোন পওয়ার বিস্তারিত তথ্য-
লোনের পরিমান | ১০,০০০ থেকে ৩ লক্ষ টাকা |
লোনের মেয়াদ | ৩ মাস থেকে ৩ বছর |
সুদের হার | বাৎসরিক ৯% |
লোন প্রসেসিং ফি | ০.৫০% |
লোন পরিশোধের ধরন | মাসিক |
৫. বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ
বর্তমানে অনলাইনে লোন পাওয়ার আরো একটি জনপ্রিয় উপায় হলো বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ।
সাধারণত বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হয় তাই হলো বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ এবং মূলত দেশের তফসিলে ব্যাংকগুলো থেকে এই ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করা হবে।
এই স্কিমের পরিমাণ ধরা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা এবং এই ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি প্রদান করবে না বরং যে সকল ব্যাংক ও এমএফএস এই লোনের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করবে তাদের মাধ্যমে ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে লোনের জন্য আবেদন করতে হবে এবং লোনের টাকা বিকাশ, নগদ ইত্যাদি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করা হবে।
বাৎসরিক ৯% সুদের হারে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নেয়া যাবে এবং ত্রৈমাসিক কিস্তিতে সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে লোন পরিশোধ করতে হবে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লোন পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের চলতি হিসাব বিকলন করে তা আদায় করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
লোনের পরিমান | ৫০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা |
লোনের মেয়াদ | ৬ মাস |
সুদের হার | বাৎসরিক ৯% |
লোন প্রসেসিং ফি | নাই |
লোন পরিশোধের ধরন | ত্রৈমাসিক |
৬. কর্মসংস্থান ব্যাংক
অনলাইনে লোন পাওয়ার আরও একটি উপায় হলো কর্মসংস্থান ব্যাংকের অনলাইন লোন। সাধারণত দেশের বেকার যুবকদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে যুক্ত করার জন্য এবং তাদের স্বাবলম্বী করার জন্যই কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে ঋণ দেয়া হয়।
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে অনলাইনে লোন পাওয়ার জন্য যে সকল তথ্য লাগবে:
- নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম;
- এনআইডি কার্ডের নাম্বার;
- বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা;
- জামিনদারের নাম ও এনআইডি কার্ডের নাম্বার;
- জন্মতারিখ;
- প্রকল্পের নাম, ঠিকানা ও ধরন।
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে অনলাইনে লোন নেওয়ার জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে লোনের আবেদন ফরম পূরণ করে সাবমিট করতে হবে এবং এই লোনের টাকা প্রদান করা হয় না; বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং বা লোন গ্রহিতার Order চেক অথবা A/C Payee Check এর মাধ্যমে দেয়া হবে।
বাৎসরিক ৯% সুদের হারে মাসিক কিস্তিতে একক ভাবে সর্বোচ্চ ৪০ লক্ষ টাকা এবং ৫ জনের গ্রুপ ভিত্তিক সর্বোচ্চ ৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নেয়া যাবে এক্ষেত্রে লোনের মেয়াদ সাধারণত ২ বছর হলেও সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
একনজরে কর্মসংস্থান ব্যাংক অনলাইন লোন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
লোনের পরিমান | সর্বোচ্চ ৪০ লক্ষ টাকা |
লোনের মেয়াদ | ১ থেকে ৫ বছর |
সুদের হার | ৯% |
লোন পরিশোধের ধরন | মাসিক কিস্তি |
উপরোক্ত উপায়গুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করলে আপনারা খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইনে লোন নিতে পারবেন এবং অনলাইন এর মাধ্যমেই লোনের টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন।
বর্তমানে অনলাইন লোন পাওয়া খুব বেশি সহজ ও ঝামেলা মুক্ত হওয়ায় এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপরোক্ত আলোচনা থেকে অনলাইন লোন পাওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন বলে আশা করছি।