কি করলে দোকানে বেশি বেচাকেনা হবে

দোকানে বেশি বেচাকেনার জন্য দোকানের লোকেশন, পণ্যের মান, বিশ্বস্ততা ও প্রচার প্রচারণার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

দোকানে বেচাকেনা বৃদ্ধির উপায়
Advertisement

কি করলে দোকানে বেশি বেচাকেনা হবে তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। সম্পূর্ণ আর্টিকেল রয়েছে দোকানে বেচাকেনা বৃদ্ধির উপায়, কি পদ্ধতি অবলম্বন করলে ব্যবসার উন্নতি হয়, দোকানে রহমত ও বরকত আসার দোয়া ইত্যাদি।

Table of Contents

কি করলে দোকানে বেশি বেচাকেনা হবে

দোকানে বেচাকেনা বেশি হওয়ার জন্য আপনাকে নজর রাখতে হবে পণ্যের কোয়ালিটির অর্থাৎ গুণগতমান এবং আপনার ব্যবসা পরিচালনার পদ্ধতির উপর। তাছাড়া, উপযুক্ত জায়গায় দোকান স্থাপন করে সঠিক ক্রেতাদের টার্গেট করলে আপনার দোকানের বেচাকেনা বেশি হবে।

১.সঠিক জায়গায় দোকানের অবস্থান নিশ্চিত করুন

যে কোন ধরণের ব্যবসার জন্যই লোকেশন বা জায়গা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন লাইব্রেরী ও স্টেশনারী দোকানের জন্য সবচেয়ে ভাল জায়গা হচ্ছে স্কুল কলেজ ও অফিস আদালতের আশে পাশে।

Advertisement

অর্থাৎ আপনি যে ধরণের পণ্য বিক্রয় করছেন সেই ধরণের ক্রেতা যেখানে বেশি পাওয়া যাবে সেখানেই আপনার দোকানের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

অথবা আপনি যেখানে দোকান স্থাপন করছেন, সেখানকার গ্রাহকদের চাহিদা ও পছন্দ অনুসারেই আপনার পণ্য নির্বাচন করে ব্যবসা করতে হবে। তাহলেই, আপনার দোকানের বেচাকেনা বৃদ্ধি পাবে।

২. সততা বজায় রেখে ব্যবসা করুন

দোকানে বেচাকেনা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সততা বজায় রেখে ব্যবসা পরিচালনা করা এবং হারাম থেকে সম্পূর্ণরূপে বেঁচে থাকা, যেমন-

  • ওজনে কম না দেয়া
  • ধোঁকা-প্রতারণা থেকে বিরত থাকা
  • ভালোর সাথে নিম্নমানের দ্রব্য না মিশ্রিত করা
  • সত্য কথা বলা

ব্যবসার মধ্যে ইসলামের মূলনীতি অনুসরণ করে ব্যবসা করতে পারলে অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তাতে বরকত দান করবেন। জানুন ইসলামে ব্যবসা করার নিয়ম

Advertisement

৩. সব বাজেটের জিনিস রাখুন 

সব মানুষের বাজেটের কথা মাথায় রেখে দোকানে পণ্য রাখা উচিত । ধনী, মধ্যবিত্ত কিংবা দরিদ্র যেই হোক না কেন সে যেন তার পছন্দ ও বাজেট অনুযায়ী আপনার দোকান থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারে । সেজন্য সকল বাজেটের জিনিস রাখা উচিত।

আরও পড়ুন:

৪. সামঞ্জস্যপূর্ণ দাম রাখুন

অতিরিক্ত লাভের আশায় পণ্যের দাম অতিরিক্ত বাড়িয়ে দিলে ক্রেতারা দোকানে আসতে চায় না । যার ফলে বিক্রি সীমিত পরিসরে চলে এবং লাভ হয় না। কিন্তু যদি প্রতিটি পণ্যের লাভের অংকটা কমিয়ে আনা যায়, তাহলে আপনার বিক্রয়ের পরিমান বৃদ্ধি পাবে। এতে কম মুনাফা করেও আপনার আয় অনেকে বেড়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।

৫. অতিরিক্ত মজুদ করা

বেশি পরিমাণে পণ্য মজুদ করে রাখলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। উপরন্তু বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয় যার ফলে পণ্যের দাম হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়। ব্যবসার ক্ষেত্রে মজুদ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে মজুদ করা অন্যায়।

Advertisement

৬. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করুন

আপনার দোকানে যে পণ্যগুলো বিক্রয় করছেন সে পণ্যগুলো অনলাইনের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে হলে আপনার দোকানের একটি ফেসবুক পেজ খুলুন। সেখানে আকর্ষণীয় সব অফার এবং আপনার পণ্যগুলো  গুণগত মান ও বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে মার্কেটিং করতে থাকুন। এর ফলে আপনার দোকানের বেচাকেনা বৃদ্ধি পাবে।

৭. আকর্ষণীয় অফার ও প্রচারণা করুন

আপনার দোকানের বাইরের দিকে লিফলেট এ আকর্ষণীয় টাইটেল লিখে দেয়ালে টাঙিয়ে দিন। এখানে সুন্দর সুন্দর কথা লিখতে পারেন। যেমন- 

Advertisement
  • বাজার করুন সব বাজেটে
  • কম খরচের সহজ সমাধান আমাদের এই দোকান
  • প্রতিটি পণ্যে পাবেন ১০% করে ডিসকাউন্ট
  • ১০০০ টাকার উপরে বাজারে থাকছে ২০% ডিসকাউন্ট 
  • অনলাইনে অর্ডার করলে ডেলিভারি ফ্রি
  • কম খরচের সহজ সমাধান আমাদের এই দোকান
  • ২০০০ টাকার বেশি পণ্য ক্রয় করলে আকর্ষণীয় গিফট ভাউচার
  • তিনটি কিনলে একটি ফ্রি

এছাড়া পণ্যের নাম ও দামের সাথে বিভিন্ন ধরনের ছন্দ মিলিয়ে কয়েকটি লাইন তৈরি করেও লিফলেট এ ছাপিয়ে দোকানের বাইরে লাগাতে পারেন। তাছাড়া যে সকল ক্রেতারা দোকানে পণ্য কিনতে আসবে তাদের একটি করে লিফলেট ও চকলেট দিতে পারেন।

৮. ডোনেশন বক্স রাখুন

অবাক হয়ে ভাবছেন , দোকানে আবার ডোনেশন বক্সের কাজ কি? একটু বুঝিয়ে বলি, ধরুন আপনার দোকানে একটি বক্স রাখলেন এবং বক্সের গায়ে কাগজে করে লিখে দিলেন যার বেশি হয়েছে সে পণ্য রেখে যায়, আর যার প্রয়োজন সে নিয়ে যায়

এর ফলে কি হবে? উচ্চবিত্তদের দান করা হবে ,গরিবদের সহায়তা হবে। চাইলে আপনি ও কিছু দান করতে পারেন। অন্যদিকে আপনার দোকানে বক্স থাকায় দোকানের প্রচারণা হয়ে যাবে । এই ডোনেশন বাক্স নামের নতুন আকর্ষণের কারণে সবাই একবার হলেও আপনার দোকানে আসবে।

৯. অরিজিনাল ব্র্যান্ডের পণ্য রাখুন

একটি দোকানে সব সময় অরিজিনাল ব্যান্ডের পণ্য রাখা উচিত । অরিজিনাল ব্র্যান্ডের পণ্য রাখার সাথে বিক্রির একটি সম্পর্ক রয়েছে । যেমন -ধরুন একটি ব্র্যান্ডের পণ্যের দাম হচ্ছে ১০০০ টাকা। যখন একটি ব্র্যান্ড পপুলার হয়ে যায় তখন এর ডুবলিকেট বাজারে দেখা যায়।

একই নামে বাজারে ২০০ থেকে আড়াইশো টাকা দামে পাওয়া যায়। দেখতে একই হলেও এর কার্যকারিতা অরিজিনাল এর মত নয়।

মানুষ কম দাম দেখে সেই নকল ব্যান্ডের পণ্য ক্রয় করে। কিন্তু এরপর যখন নকল পণ্য কিনে প্রতারিত হয় তখন সেই নকল ব্যান্ডের পণ্য যে দোকান থেকে কিনেছে সে দোকানে আর আসে না।

নকল জিনিসের চাহিদা সীমিত সময় ধরে থাকে কিন্তু অরিজিনাল জিনিসের দাম বেশি হলেও এতে মানুষকে ঠকানো হয় না এবং মানুষ বিশ্বাস করে জিনিস নিতে পারে।

১০. ক্রেতার সাথে ভালো ব্যবহার করুন

একজন দোকানদারের ভালো ব্যবহার ক্রেতাকে পরবর্তী সময়ে আবার সেই দোকানে ফিরে আসতে উৎসাহিত করে। ধরুন একজন ক্রেতা আপনার দোকানে ৫০টি জিনিস দেখে একটা জিনিস ও কিনলো না । তবুও তার সাথে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না।

হতে পারে সেই ব্যক্তি আর একদিন এসে আপনার দোকান থেকে কোনো না কোনো পণ্য ক্রয় করতে পারে। এভাবে ক্রেতাদের সাথে ভাল আচরণ করেও আপনার দোকানের বেচাকেনা বৃদ্ধি করতে পারেন।

১১. এলাকার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য রাখুন

আপনার দোকান যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার মানুষ কোন ধরনের জিনিস পছন্দ করে এবং তাদের মধ্যে কোন ধরনের জিনিস কেনার প্রবণতা বেশি তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। সে পছন্দের কথা মাথায় রেখেই আপনাকে দোকানের জিনিস রাখতে হবে।

১২. ক্লিয়ারেন্স সেল করুন

দোকানে বেচাকেনা বৃদ্ধির একটি আকর্ষণীয় পদ্ধতি হলো ক্লিয়ারেন্স সেল। এটি বলতে বোঝায় দোকানে নতুন করে পণ্য স্টক করার জন্য পুরাতন পণ্যগুলো আকর্ষণীয় ছাড়ে বিক্রি করে দেওয়া।

কোনো দোকানে  ক্লিয়ারেন্স সেল  থাকলে মানুষের দোকানে বেশি আসে । কারণ এখানে একটু কম দামি জিনিস পাওয়া যায়। তাই আপনার দোকানে ক্লিয়ারেন্স সেল  চলছে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণা করুন যেমন -ফেসবুক মার্কেটিং ,মাইকিং বা লিফলেট ইত্যাদি সহ আরো বিভিন্ন মাধ্যমে যেটি আপনার সাথে মানানসই হবে।

১৩. বিভিন্ন দিবসে ডিসকাউন্ট অফার করুন

আমাদের দিবস গুলো যেমন – স্বাধীনতা দিবস ,বিজয় দিবস ,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, পহেলা বৈশাখ ,বাবা দিবস, মা দিবস, শিশু দিবস ,নারী দিবস ,শ্রমিক দিবস ইত্যাদি বিভিন্ন দিবসে অনেক অফার রাখতে পারেন । এছাড়া ক্যালেন্ডার লক্ষ করলে দেখতে পাবেন প্রতিদিন কোন না কোন দিবস ।এক্ষেত্রে আপনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিবসে আকর্ষণীয় অফারের পণ্য বিক্রয় করতে পারেন।

দোকানের সামনে ব্যানার বা লিফলেট টাঙিয়ে বড় করে লিখে নিতে পারেন বিশেষ দিবসের বিশেষ ডিসকাউন্ট

১৪. প্রতিযোগিদের সাথে তাল মিলিয়ে চলুন

মনে করেন একজন কাস্টমার এসে আপনার কাছে কোনো নির্দিষ্ট একটি জিনিস চাইছে। কিন্তু জিনিসটি আপনার দোকানে নাই । আপনি বলেন যে এটি আমার কাছে হবে না। সে অন্য দোকানে চলে গেল। এরপর আরো অনেক কাস্টমার আসে এবং সেই জিনিসটি আপনার কাছে আপনার দোকানে আছে কিনা জিজ্ঞাসা করে। আবার আগের মত বলেন আমার দোকানে নেই।

এই যে এখানে একটা বড় ভুল হয়ে গেল। আপনি যখন বুঝতে পারছেন যে কোনো একটা নির্দিষ্ট জিনিস অন্য দোকানে রয়েছে এবং সে জিনিসের চাহিদা বাজারে রয়েছে। তাই আপনাকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং এগিয়ে থাকতে হলে সেই জিনিসটি আপনার দোকানে স্টক করতে হবে অর্থাৎ বাজারে চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

১৫. নতুন পণ্য রাখুন

বাজারে কোন নতুন জিনিস আগে আসলে সবাই সেটা কিনতে চায় । দাম বেশি হলেও নতুন পণ্যটি ভালো লেগে গেলে কষ্ট করে হলেও কিনে থাকে। তাই দোকানে নিত্য নতুন জিনিসের আপডেট ভার্সন অর্থাৎ সর্বশেষ প্রকাশিত পণ্য গুলো রাখা উচিত ।

১৬. ভালো ও খারাপ জিনিস একসাথে মিশ্রণ করবেন না

দোকানে অনেক ধরনের জিনিস থাকে ।এর মধ্যে অনেক সময় দোকানিরা খারাপ জিনিস গুলোকে ভালো জিনিসের সাথে মধ্যে দিয়ে  বিক্রি করে দেয় । এমনটা করলে ক্রেতারা সে দোকানে আর আসবে না এবং দোকানের একটি বদনাম ছড়িয়ে যাবে । যার ফলে দোকানের বেচাকেনা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

তাই চেষ্টা করতে হবে ভালো মানের পণ্য বিক্রি করা। খারাপ মানের যে সকল পণ্য রয়েছে সেগুলো বিক্রি করার পূর্বে ক্রেতাকে অবশ্যই সে পণ্যের ত্রুটির কথা জানিয়ে দিতে হবে এবং কম দামে বিক্রি করতে হবে ।

১৭. বিশ্বস্ত ও আন্তরিক সেলসম্যান ও কর্মী রাখুন

আপনার দোকানে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একাধিক সহযোগী প্রয়োজন হলে তাদের ভালোভাবে যাচাই বাছাই করে দোকানে রাখবেন। কেননা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমেই দোকানে বেচাকেনা অনেক নির্ভর করবে।

১৮. ব্যবসাকে একটি নেক আমল হিসেবে মনে করুন

ব্যবসা যখন আমানতদারি, বিশ্বস্ততা এবং সততার সাথে করা হয় তখন এটি নেক আমলে পরিণত হয়। দোজাহানের সর্দার মহানবি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও ব্যবসা করেছেন এবং ব্যাপক পরিসরে করেছেন। এ অঙ্গনে তিনি আমাদের জন্য অনেক আদর্শ রেখে গেছেন। 

১৯. ধৈর্য ধারণ করুন

ব্যবসা কথাটির সাথে ধৈর্য যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। ধৈর্য না থাকলে আর যাই হোক ব্যবসা করা সম্ভব নয় ।

ব্যবসা মানুষের ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল। দোকানে ক্রেতা আসবে নাকি আসবে না। নাকি ক্রেতা এসে ও পণ্য বিক্রয় করা সম্ভব হবে না। এই সব কিছুই মেনে নিতে প্রয়োজন ধৈর্য ও অপেক্ষা। তাই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে তাহলেই ব্যবসা ভালো হবে।

উপরের এসব পরামর্শ মেনে ব্যবসা পরিচালনা করলে খুব কম সময়ে আপনার দোকানে বেচাকেনা বৃদ্ধি পেতে থাকবে ইনশাআল্লাহ।

কি করলে ব্যবসায় উন্নতি হয়

  • হালাল ভাবে  ইসলামের বিধি-বিধান মেনে ব্যবসা করা
  • কাজের ব্যস্ততায় আল্লাহর ইবাদত করতে ভুলে না যাওয়া
  • সততা ও তাকওয়া অবলম্বন করা
  • কর্মচারীদের পারিশ্রমিক প্রদানে অবহেলা না করা
  • সুন্দর ভাবে দোকান সাজানো
  • ব্যবসায়িক পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখা
  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মালামাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা

দোকানে বেচাকেনা বেশি হয় না কেন

  • বাজারের চাহিদার দিকটি সঠিকভাবে বিবেচনায় না নেওয়া
  • বিনিয়োগযোগ্য অর্থ ফুরিয়ে যাওয়া
  • প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারা
  • ক্রেতার প্রতিক্রিয়াকে মূল্যায়ন না কর
  • কাজে মনোযোগ ও দক্ষতার অভাব
  • দোকানের অবস্থান 
  • অনৈতিকতা

ব্যবসায় রহমত ও বরকতের দোয়া

ব্যবসায় উন্নতি করার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট আমরা এই দোয়া পড়ে প্রার্থনা করতে পারি –

‎الله يا أول أولين ، يا خيرول خيرين ، يا جهال كواتيل متين ، يا رحيم مساكن ، يا الحمر رحيمين.

উচ্চারণঃ আল্লাহুমা ইয়া আওয়ালাল আওলীন, ইয়া আখিরোল আখিরিন, ইয়া ঝাল কুয়াতিল মাতিন, ইয়া রহিমাল মাসাকিন, ইয়া আর হামার রহিমিন।

এছাড়াও আরো কিছু দোয়া পড়ে ব্যবসায় উন্নতি লাভ করতে পারি এবং রোজগার বৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করতে পারি। যেমন –

‎سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم استغفر الله.

উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আজীম, আস্তাগফিরুল্লাহ ৷

দোকানে কাস্টমার আসার দোয়া 

অনেকে দোকানে কাস্টমার আসার দোয়া লিখে অনলাইনে সার্চ করে থাকে। দোকানে কাস্টমার আসে না বলে দোয়ার কথা মনে পড়ে। কিন্তু প্রতিদিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে ইসলামের বিধি বিধান পালন করতে হবে এ বিষয়ে কোনো গুরুত্ব থাকেনা। তাহলে কি লাভ হবে দুই তিনটি লাইনের কাস্টমার আসার দোয়া মুখস্থ করে?

আবার অনেকেই দোকানে বেচাকেনা বৃদ্ধির দোয়া লিখে টাঙ্গিয়ে রাখেন, কেউ তাবিজ নিয়ে থাকেন। এগুলোর কোনটিই করা উচিত নয়।

আমাদের নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া উচিত এবং নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত যেন, আমরা ব্যবসার মাধ্যমে হালাল ভাবে উপার্জন করে জীবন -জীবিকা নির্বাহ করতে পারি এবং ইহকাল ও পরকালে ভালো থাকতে পারি।

আল্লাহর ওপর ভরসা করে ব্যবসা করলে অবশ্যই আল্লাহ তাতে বরকত দান করবেন। তবে যদি ব্যবসায় ইসলামী রীতি অনুসরণ করা না হয়, তাহলে বরকত হবে না। কেননা, রাসূল সা: বলেছেন, ‘….যদি তারা মিথ্যা বলে ও (দোষ) গোপন করে, তবে তাদের কেনা-বেচার বরকত বিনষ্ট হয়ে যাবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০৭৯)

আশা করি আর্টিকেল এর মাধ্যমে, কি করলে দোকানে বেশি বেচাকেনা হবে এ বিষয়ে অনেকগুলো ধারণা পেয়েছেন। তাই আর দেরি না করে উপরোক্ত নিয়ম গুলো অনুসারে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তাহলে দোকানে বেচাকেনা বৃদ্ধি পাবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *