যাকাত প্রদানের খাত কয়টি ও কি কি | কোন কোন খাতে যাকাত দেওয়া যাবে

যাকাত অবশ্যই মহান আল্লাহর বর্ণিত ব্যক্তি ও খাতগুলোতেই বন্টন করতে হবে। তাই আপনার জানা উচিত কোন কোন খাতে যাকাত দেয়া যাবে।

যাকাত প্রদানের খাত
Advertisement

মুসলিমদের অর্থ ও সম্পদের উপর নির্দিষ্ট হারে ও নির্দিষ্ট খাতে দান করাই হলো যাকাত। পবিত্র কোরআন মাজিদে সূরা আত-তাওবার ৬০ নাম্বার আয়াতে যাকাত প্রদানের ৮টি খাতের কথা সুস্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে।

মহান আল্লাহ যে ৮টি খাতের কথা নির্দেশ করেছেন তা ব্যাতীত অন্য কোন খাতে যাকাত প্রদান করলে শরীয়ত সম্মত হবে না। আসুন জেনে নিই যাকাত প্রদানের ৮টি ওয়াজিব খাত সমূহ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।

যাকাত প্রদানের খাত কয়টি ও কি কি? 

যাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে যে ৮টি ওয়াজিব খাত রয়েছে তা হলো;

Advertisement
  • ফকির – যার ১ বছর চলার মত অর্থ নেই।
  • মিসকিন- নেসাব পরিমাণ বা বছরের অর্ধেক চলার মতো অর্থ নেই। 
  • যাকাত আদায়কারী ও হেফাজতকারী- যাকাত আদায় করে বা অন্য কোনো জীবিকা নেই। 
  • নওমুসলিম ও অমুসলিম- বর্তমানে আর্থিক সংকটে আছে এমন ব্যক্তি।
  • ক্রীতদাস বা বন্দী মুক্ত করার জন্য- মুক্ত হওয়ার জন্য যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন।
  • ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি- যার ঋণ আছে দেওয়ার সামর্থ্য নাই। 
  • আল্লাহর রাস্তায় ও মুজাহিদ- আল্লাহর রাস্তায় কোন ভাল কাজের উদ্দেশ্যে বা জিহাদ করা ব্যক্তির প্রয়োজনে।
  • মুসাফির- ভ্রমণকালে অর্থের প্রয়োজন এমন ব্যক্তিকে।

আরও পড়ুন- যাকাত কাদের উপর ফরজ

১. ফকির

ফকির হলো এমন ব্যক্তি যারা একেবারেই সম্বলহীন। তাদের ও পরিবারের চলার মত ১ বছরের কোন অর্থ বা সামর্থ্য না থাকলে তাদেরকে যাকাত দেওয়া ফরজ। ১ বছর পরিমান করেই দিতে হবে কেননা এর বেশি হলে সম্পদের নিসাব পরিমাণ করা হবে এবং তাদেরও অতিরিক্ত অংশের যাকাত প্রদান করতে হবে। ফকিরদের যাকাত প্রদান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

إِنْ تُبْدُوْا الصَّدَقَاتِ فَنِعِمَّا هِيَ وَإِنْ تُخْفُوْهَا وَتُؤْتُوْهَا الْفُقَرَاءَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمْ

‘আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর তাদের সম্পদে ছাদাক্বাহ্ (যাকাত) ফরয করেছেন। যা তাদের ধনীদের নিকট থেকে গৃহীত হবে আর তাদের দারিদ্রের মাঝে বণ্টন করা হবে’।

Advertisement

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,

أَنَّ اللهَ افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً فِيْ أَمْوَالِهِمْ، تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ وَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ-

‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে ছাদাক্বাহ প্রদান কর তবে উহা ভাল, আর যদি তা গোপনে কর এবং দরিদ্রকে দাও তোমাদের জন্য আরো ভাল’ (বাক্বারাহ ২/২৭১)।

আরও পড়ুন- যাকাত ও ফিতরার মধ্যে পার্থক্য কি

২. মিসকিন

মিসকিন হলো এমন ব্যক্তি যারা বছরের অর্ধেক বা তার কম সময় জীবিকা নির্বাহ করতে পারে, বছরের বাকি সময় চলার মত অর্থ বা সামর্থ্য থাকে না। তারা মুখ ফুটে কারো কাছে চাইতে পারেনা, তাই তাদের কে যাকাত দেওয়া ফরজ। আল্লাহ তা’আলা ফকিরদের পরেই মিসকিনদের কথা উল্লেখ করেছেন। 

Advertisement

হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رضى الله عنه أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَيْسَ الْمِسْكِيْنُ الَّذِى يَطُوْفُ عَلَى النَّاسِ تَرُدُّهُ اللُّقْمَةُ وَاللُّقْمَتَانِ وَالتَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ، وَلَكِنِ الْمِسْكِيْنُ الَّذِى لاَ يَجِدُ غِنًى يُغْنِيْهِ، وَلاَ يُفْطَنُ بِهِ فَيُتَصَدَّقُ عَلَيْهِ، وَلاَ يَقُوْمُ فَيَسْأَلُ النَّاسَ-

বুখারি ও মুসলিম

আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,

Advertisement

এমন ব্যক্তি মিসকীন নয় যে ১-২ মুঠো খাবারের জন্য বা ২-১টি খেজুরের জন্য মানুষের দ্বারে যায় এবং তাকে তা দেওয়া হলে গ্রহণ করে। প্রকৃত মিসকীন হল সেই ব্যক্তি যার প্রয়োজন পূরণ করার মত যথেষ্ট সামর্থ্য নেই। অথচ তাকে চেনাও যায় না যাতে লোকে তাকে ছাদাক্বাহ্ করতে পারে এবং সে নিজেও মানুষের নিকট কিছু চায় না।

বুখারি ও মুসলিম

৩. যাকাত আদায়কারী ও হেফাজতকারী 

আল্লাহ তা’আলা যাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থানে রেখেছেন যাকাত আদায়কারীকে। যাকাত আদায়কারী, যাকাত প্রদানকারীর থেকে হিসাব করে যাকাতের অর্থ বুঝে নেন। যে স্তরের মানুষ যাকাত গ্রহণের যোগ্যতা রাখে এবং তা কতটুকু পরিমাণে পাবে হিসাব করে দেন ও লিপিবদ্ধ করে রাখেন। 

যাকাতের অংশ থেকে যাকাত আদায় ও হেফাজতকারীকে তার পারিশ্রমিক অনুযায়ী যাকাত প্রদান করতে হবে। তিনি যথেষ্ট সামর্থ্যবান হলেও যাকাত প্রদান করতে হবে। যদি দরিদ্র হয় তার জন্য তিনি আলাদা যাকাত পাবেন, সেক্ষেত্রে তিনি কাজের এবং দারিদ্র্যের জন্য পৃথকভাবে যাকাতের হকদার হবেন। দারিদ্র্যের জন্য ১ বছর  চলার মত অর্থ দিতে হবে এবং কাজের জন্য পরিশ্রম অনুযায়ী যাকাত দিতে হবে।

যাকাত আদায়কারী তার পাওনা যথেষ্ট সামর্থ্যবান হলেও গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে পাওনা অংশ সাদকা হিসাবে অন্যকে দান করতে পারবে। 

হাদীছে এসেছে,

عَنِ ابْنِ السَّاعِدِىِّ الْمَالِكِىِّ أَنَّهُ قَالَ اسْتَعْمَلَنِيْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رضى الله عنه عَلَى الصَّدَقَةِ فَلَمَّا فَرَغْتُ مِنْهَا وَأَدَّيْتُهَا إِلَيْهِ أَمَرَ لِيْ بِعُمَالَةٍ فَقُلْتُ إِنَّمَا عَمِلْتُ لِلَّهِ وَأَجْرِى عَلَى اللهِ، فَقَالَ خُذْ مَا أُعْطِيْتَ فَإِنِّيْ عَمِلْتُ عَلَى عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَعَمَّلَنِيْ فَقُلْتُ مِثْلَ قَوْلِكَ فَقَالَ لِيْ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أُعْطِيْتَ شَيْئًا مِنْ غَيْرِ أَنْ تَسْأَلَ فَكُلْ وَتَصَدَّقْ-

ইবনু সায়ে‘দী আল-মালেকী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) আমাকে যাকাত আদায়কারী হিসাবে নিযুক্ত করলেন। আমি কাজ শেষ করে  তাঁর কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার পরে, তিনি আমাকে পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য  নির্দেশ দিলেন। আমি বললাম, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আমি কাজ করেছি। সুতরাং আমি আল্লাহ কাছ থেকেই এর প্রতিদান নেব। তিনি বললেন, আমি যা দিচ্ছি তা নিয়ে নাও। আমিও রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সময় যাকাত আদায়কারীর কাজ করেছিলাম। তিনিও আমাকে পারিশ্রমিক প্রদানের আদেশ দিয়েছিলেন। তখন আমিও তোমার মত এরূপ কথা বলেছিলাম। রাসূল (ছাঃ) আমাকে বলেছিলেন, যখন তুমি না চাওয়া সত্ত্বেও তোমাকে কিছু দেওয়া হয়, তখন তুমি তা গ্রহণ কর। তুমি তা নিজে খাও অথবা ছাদাক্বাহ্ কর।

৪. নওমুসলিম ও অমুসলিম

নওমুসলিম বলতে বোঝায় এমন ব্যক্তিকে যিনি অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। অমুসলিম বলতে বোঝায় যারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেনি কিন্তু করতে পারে এমন ব্যক্তি।

নওমুসলিমরা আর্থিক সংকটে বা কোন প্রকার অভাব থাকলে যাকাত থেকে প্রদান করতে হবে। অমুসলিমদে্র ঈমানকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে যাকাত প্রদান করা যেতে পারে। একটি হাদীসে এসেছে, নবী রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অমুসলিমদের  যাকাত প্রদান করেছেন, তাদের ঈমানকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে, ইসলাম ধর্মের প্রতি আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে এবং কোনো দুষ্ট চক্র তাদের কোনো ক্ষতি করতে না পারে। 

৫. ক্রীতদাস বা বন্দি মুক্ত করার জন্য

যারা লিখিত চুক্তির মাধ্যমে কোন ব্যক্তির কাছে কেনা গোলামে পরিণত হয় তাদের ক্রীতদাস বলে। তাদেরকে মুক্ত করার জন্য যাকাত থেকে অর্থ প্রদান করা যাবে। আবার কোন মুসলিম ব্যক্তি অমুসলিমের হাতে বন্দী বা কিডন্যাপ হলে তাকে যাকাতের অর্থ থেকে মুক্ত করা যাবে। মুসলিম ব্যক্তিকে মুসলিম, অমুসলিম যেই বন্দী করে রাখুক  না কেন তাকে যাকাতের অংশ থেকে মুক্ত করা যাবে।

হাদীছে এসেছে,

ইসলামে দাসমুক্তিতে জান্নাত পাওয়ার একটি বিশেষ রাস্তা হিসাবে উল্লেখিত আছে। দাসমুক্তির জন্য বেশি অর্থের প্রয়োজন হয়, তাই আল্লাহ তা‘আলা যাকাত বণ্টনের খাতের মধ্যে দাসমুক্তিকে উল্লেখিত করেছেন।

৬. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি

মানুষ অনেক সময় প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে ঋণী হয়ে যায়, ঋণ পরিশোধ করার মত অর্থ না থাকলে যতটুকু পরিমান ঋণ আছে ততটুকু যাকাত প্রদান করা যাবে। 

আলেমরা ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে ২ ভাবে ভাগ করেছেন, যেমন;

  1. দুই পক্ষের বিবাদ মীমাংসা করতে গিয়ে ঋণী হয়েছেন এমন ব্যক্তি । 
  2. নিজের প্রয়োজন পূরণ করার জন্য ঋণী হয়েছেন এমন ব্যক্তি। 

দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হলে তখন যিনি নেতৃত্ব এবং অর্থের দায়ভার নিয়ে তাদের ঝগড়া মীমাংসা করে দিবে, তার থেকে যে অর্থ দেয়া হয়েছে তা যাকাত থেকে প্রদান করা যাবে। তিনি অর্থবান হলেও তাকে এই অর্থ ফেরত দিতে হবে কেননা তার মাধ্যমে দুটি পক্ষের ঝগড়া বিবাদ মীমাংসা হয়েছে। 

নিজের প্রয়োজন মিটাতে গিয়ে যিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তার কাছে ঋণমুক্ত হওয়ার মত অর্থ না থাকলে তাকে যাকাত থেকে অর্থ প্রদান করে ঋণমুক্ত করতে হবে। 

৭. আল্লার রাস্তায় ও মুজাহিদ

আল্লাহর বিধানকে সমুন্নত করার উদ্দেশ্যে যে কোন ধরনের চেষ্টাই হলো আল্লাহর রাস্তার অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে জিহাদ, ইসলামি ইলম অর্জন এবং ইসলামের দ্বীন প্রচারের যাবতীয় কার্যক্রম এ খাতের অন্তর্ভুক্ত। যারা এইসব কার্যক্রম সম্পন্ন করেন তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যাকাত প্রদান করতে হবে।

যিনি জিহাদ করেন তাকে মুজাহিদ বলা হয়। মুজাহিদদের ও প্রয়োজন অনুযায়ী যাকাত প্রদান করতে হবে।

হাদীছে এসেছে,

আতা ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, সম্পদশালীদের   জন্য যাকাত হালাল নয়। তবে পাঁচ শ্রেণীর ধনী্র জন্য জায়েয আছে । (১) আল্লাহর দ্বীনকে সমুন্নত করার জন্য জিহাদরত ব্যক্তি। (২) যাকাত আদাকারী । (৩) ঋণগ্রস্ত মিসকীন প্রতিবেশীর যাকাত থেকে প্রাপ্ত অর্থ ধনী ব্যক্তিকে উপহার দিয়েছে এমন।

৮. মুসাফির

যদি কোন ব্যক্তি সফরে গিয়েছেন এবং সেখানে তিনি অর্থ সংকটে পড়ে গিয়েছেন, অর্থের অভাবে বাকি সফর বা দেশে ফিরতে পারছেন না, তখন তাকে দেশে ফেরার মত অর্থ যাকাত প্রদান করতে হবে। তিনি নিজ দেশে অর্থবান হলেও তাকে যাকাত প্রদান করতে হবে।

যাদেরকে যাকাত দেয়া যায় না

আমরা এতক্ষন জানলাম যাকাত দেওয়া যাবে কোন কোন খাতে। এবার জানবো যাকাত দেওয়া যাবেনা কোন কোন খাতে।

  • মসজিদের কোনো কাজ বা নির্মাণ কাজে যাকাতের অর্থ দেওয়া যাবে না।
  • কোনো প্রকার রাস্তা মেরামত বা তৈরির কাজে যাকাতের অর্থ দেওয়া যাবে না। ৩.লাইব্রেরি নির্মাণ কাজে যাকাতের অর্থ দেওয়া যাবে না
  • নিজের রক্ত সম্পর্কীয় মা-বাবা,দাদা-দাদী এরূপকে যাকাত দেওয়া যাবে না।
  • মাদ্রাসা নির্মাণ কাজে যাকাতের অর্থ দেওয়া যাবে না। 
  • যাকাতের অর্থ থেকে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা যাবে না। তবে আশ্রয়হীন ব্যক্তিকে ঘরবাড়ি করে দেওয়া যাবে।
  • নিজ পুত্র-কন্যা এবং স্বামী-স্ত্রীকে যাকাত প্রদান করা জায়েয নেই।  
  • মৃত ব্যক্তির দাফন-কাপন করা জায়েয নেই।

আট খাতের মধ্যে কোন খাতে যাকাত বণ্টন করা অধিক উপযুক্ত?

যাকাত বন্টনের ক্ষেত্রে যে খাতের প্রয়োজন বেশি তীব্র সেই খাতেই যাকাত প্রদান করা উত্তম।

শেষকথা

যাকাত প্রদান করতে হবে এমন ব্যক্তিকে যার প্রয়োজন আছে এবং যতটুকু দিলে তার প্রয়োজন মিটবে তাকে ওই ভাবেই যাকাত প্রদান করতে হবে ব্যক্তি হোক। 

আমরা অনেকেই যাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে শুধু কাপড় দিয়ে থাকি, এতে আমাদের যাকাত দান করা হয় ঠিকই, কিন্তু গ্রহণকারীর কোন উপকারে আসে না। এমনভাবে যাকাত দিতে হবে তিনি যাতে স্বাবলম্বী হয়ে যান।

যাকাত বিষয়ে আপনার যে কোন প্রশ্ন থাকলে নিচের কমেন্টে অবশ্যই লিখে জানান। আমরা যতটা সম্ভব এর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *