ডিজিটাল ব্যাংক কি, এর সুবিধা অসুবিধা

ডিজিটাল ব্যাংক হল একটি শাখাবিহীন ব্যাংক যা ইন্টারনেট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যাংকিং পরিষেবা প্রদান করে।

Advertisement

ট্র্যাডিশনাল ব্যাংকের কার্যক্রমের সাথে ডিজিটাল ব্যাংকের কার্যক্রম প্রায় একই থাকলেও ব্যাংকের গঠন, অবস্থান, শাখা ও কার্যকমের ধরণে কিছু পার্থক্য রয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৩ সালে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের জন্য লাইসেন্স প্রদান শুরু করে। খুব শিঘ্রই, দেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।

এই ব্লগে, আমি ডিজিটাল ব্যাংক কি, কিভাবে লেনদেন পরিচালিত হবে, এবং এর সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো।

Advertisement

আসুন প্রথমে জেনে নিই, Digital Bank আসলে কি।

ডিজিটাল ব্যাংক কি

ডিজিটাল ব্যাংক হলো একটি অনলাইন ভিত্তিক ব্যাংক যেটি মূলত সকল ব্যাংকিং কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করে থাকে। কোন শাখা উপশাখা ছাড়াই, শুধুমাত্র ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করাই হলো Digital Bank এর মূল লক্ষ্য।

Advertisement

এই ব্যাংকের কোনো স্থাপনা, ওভার দ্য কাউন্টার, শাখা বা উপশাখা, এটিএম, সিডিএম অথবা সিআরএম থাকবে না। সব সেবাই দেওয়া হবে মুঠোফোন, অ্যাপ বা ডিজিটাল মাধ্যমে।

এ ধরণের ব্যাংকে সেবা পাওয়া যাবে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা। ডিজিটাল ব্যাংক Virtual Card, QR Code সহ বিভিন্ন উন্ন প্রযুক্তিভিত্তিক পন্য চালু করতে পারবে, তবে, কোনো Physical Card দিতে পারবে না। এটি ঋণপত্রও (LC) খুলতে পারবে না। শুধু ছোট ঋণ দেবে, বড় ও মাঝারি শিল্পে ঋণ দেওয়া যাবে না।

মূলত Digital Bank হলো একটি ভার্চুয়াল ব্যাংক যা গ্রাহকদের কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে এবং পরিচালনা করতে সহায়তা করে থাকে।

অনলাইনে একাউন্ট খোলা, লেনদেন করা, ডিজিটাল পেমেন্ট করা, অটোমেটিক সেবা প্রদান করা, ডিজিটাল ভাবে গ্রাহক সেবা দেয়া, ডেটা বিশ্লেষণ করা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য গুলোই হলো ডিজিটাল ব্যাংকি এর বৈশিষ্ট্য সমূহ।

Advertisement

উন্নত প্রযুক্তি, গ্রাহকদের পছন্দ এবং অনলাইন ভিত্তিক ব্যাংকিং সুবিধার সহজলভ্যতার জন্য সারা বিশ্বে বর্তমানে এই ডিজিটাল ব্যাংক গ্রাহকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং বর্তমানে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তবে বাংলাদেশে এখনো ডিজিটাল ব্যাংক এর কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হয়নি।

বাংলাদেশও খুব শীঘ্রই এই ডিজিটাল ব্যাংক এর কার্যক্রম চালু হতে চলেছে তবে ডিজিটাল ব্যাংক  চালু হলেও এর কোনো Branch বা শাখা থাকবে না যেখানে গ্রাহকরা সশরীরে লেনদেন করতে পারবে।

ডিজিটাল ব্যাংক থেকে ব্যাংকিং সেবা পাওয়ার জন্য গ্রাহকদের ডিজিটাল ব্যাংকের একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে হবে।

বাংলাদেশে প্রথম অনুমোদনপ্রাপ্ত ডিজিটাল ব্যাংকসমূহ

বাংলাদেশে ২টি প্রতিষ্ঠান পুর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে লাইসেন্সের অনুমোদন পেয়েছে। এই ২টি প্রতিষ্ঠান হলো:

Advertisement
  1. নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি;
  2. কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি;

এগুলোর পাশাপাশি, আরও ৮ ব্যাংকে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে, তবে এখনো লাইসেন্স দেয়া হয় নি। বিস্তারিত জানতে দেখতে পারেন যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদ- অনুমোদন পেল আট ডিজিটাল ব্যাংক

ডিজিটাল ব্যাংকের সুবিধা

ডিজিটাল ব্যাংকের সুবিধা হলো, এটি তুলনামূলক সাশ্রয়ী এবং দিন/রাত ২৪ ঘন্টাই সেবা পাওয়া যাবে। তাছাড়া, এখানে গ্রাহকরা নতুন নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের সুযোগ পাবে।

ব্যাংকিং সেবা সাধারণত নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল ভাবে দেয়া হয় আর এ কারণেই ডিজিটাল ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ডিজিটাল ব্যাংকের সুবিধা সমূহ নিয়ে কিছু বিস্তারিত তথ্য।

১. ২৪/৭ সেবা

ডিজিটাল ব্যাংকের সবচেয়ে বড় একটি সুবিধা হলো এটি ২৪/৭ ঘন্টা গ্রাহক সেবা দিয়ে থাকে এবং ডিজিটাল ব্যাংকের গ্রাহকরা ২৪/৭ ঘন্টাই তাদের অ্যাকাউন্ট গুলোতে এক্সেস এবং লেনদেন করতে পারে।

অফলাইন ব্যাংকগুলো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খোলা থাকে এবং ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে কিন্তু এ ব্যাংক ২৪ ঘন্টাই গ্রাহক সেবা দিয়ে থাকে যা অন্যান্য ব্যাংকগুলোর তুলনায় বেশ সুবিধাজনক।

আরও পড়তে পারেন- বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক কয়টি ও কি কি

২. সাশ্রয়ী

ব্যাংকের ফি, সুদের হার , খরচ ইত্যাদির ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যাংকগুলোর তুলনায় Digital Bank সাশ্রয়ী হয়ে থাকে অর্থাৎ ডিজিটাল ব্যাংকের ফি, সুদের হার, খরচ ইত্যাদি অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় খুবই কম।

ডিজিটাল ব্যাংকের বিভিন্ন সেবার জন্য যে ফি গুলো নেওয়া হয় যেমন রক্ষণাবেক্ষণ ফি, লেনদেনের ফি, ওভারড্রাফট ফি ইত্যাদি অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় কম এবং সাশ্রয়ী হয়ে থাকে যা গ্রাহকদের জন্য বেশ সুবিধাজনক একটি বিষয়।

৩. দক্ষতা

ডিজিটাল ব্যাংক যেহেতু ডিজিটাল পদ্ধতিতে ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে সেহেতু এই ব্যাংকে লেনদেনে ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে কাগজপত্র এবং বিভিন্ন ডকুমেন্টস এর সংখ্যা কম হয় এবং Account Opening, Money Transfer, Payment Collection ইত্যাদি কাজগুলো খুব দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে সম্ভব হয়।

ডিজিটাল ব্যাংক বিভিন্ন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব দক্ষতার সাথে তাদের গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে যা গ্রাহকদের জন্য অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় সুবিধাজনক এবং দক্ষতার সাথে সকল কাজ সম্পন্ন হয় বলে যেকোনো সেবা প্রদানে ভুল হওয়ারও সম্ভাবনা কম থাকে।

৪. নতুন প্রযুক্তি

বিভিন্ন ডিজিটাল বা আধুনিক গ্রাহক সেবা প্রদান করার জন্য ডিজিটাল ব্যাংক অনেক নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে যা সাধারণ ব্যাংক গুলোতে খুব বেশি লক্ষ্য করা যায় না।

এর ফলে গ্রাহকরা নানা ধরনের নতুন নতুন ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারে এবং ডিজিটাল ব্যাংকের গ্রাহক সেবার পরিসরও বৃদ্ধি পায় যা অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় বেশ উন্নত হয়ে থাকে।

৫. সহজলভ্যতা

ডিজিটাল ব্যাংকের একটি বড় সুবিধা হলো এর সহজলভ্যতা অর্থাৎ ঘরে বসে খুব সহজেই একজন গ্রাহক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করতে পারবে।

ডিজিটাল ব্যাংকের সকল গ্রাহক সেবা সাধারণত ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইন এর মাধ্যমে দেয়া হয় যার ফলে ডিজিটাল ব্যাংকের কোনো শাখা , উপশাখা বা এটিএম বুথ নেই যেখানে সশরীরে অবস্থান করে লেনদেন বা অন্যান্য কাজ করতে হয়।

এর ফলে গ্রাহকরা খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যাংকের গ্রাহক সেবা পেতে পারে এবং তাদের অ্যাকাউন্ট গুলো খোলা বা পরিচালনার কাজ করতে পারে যা সাধারণ ব্যাংকগুলোর তুলনায় বেশ সহজলভ্য হয়ে থাকে।

ডিজিটাল ব্যাংকের এই সহজলভ্য ব্যাংকিং সেবাই মূলত গ্রাহকদের বেশি আকর্ষণ করে এবং এর ফলে এটি বর্তমানে গ্রাহকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

৬. গ্লোবাল অ্যাক্সেসিবিলিটি

ডিজিটাল ব্যাংক অনলাইন এর মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে বলে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকেই গ্রাহকরা এই ব্যাংকে একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে লেনদেন পর্যন্ত সকল কাজ করতে পারে।

ডিজিটাল ব্যাংকের গ্রাহকরা তাদের গ্লোবাল বা ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে না এবং পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডিজিটাল ব্যাংকের ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করতে পারে।

গ্লোবাল অ্যাক্সেসিবিলিটি থাকায় ডিজিটাল ব্যাংকের গ্রাহকরা শারীরিকভাবে উপস্থিত না থেকেও তাদের অ্যাকাউন্ট গুলো পরিচালনা করতে পারে এবং খুব সহজেই ঘরে বসেই লেনদেন করতে পারে।

৭. মনিটরিং সুবিধা

ডিজিটাল ব্যাংকের গ্রাহকরা প্রতিনিয়ত তাদের একাউন্ট এবং বিভিন্ন লেনদেনের সাথে সম্পর্কিত তথ্যগুলোর মনিটর করার সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে এবং এর ফলে গ্রাহকরা যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের তথ্য পেয়ে যেতে পারে।

সাধারণ ব্যাংকগুলোতে প্রতিনিয়ত অ্যাকাউন্ট বা অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য মনিটরিং এর ব্যবস্থা থাকে না এবং এক্ষেত্রে সাধারণ ব্যাংকগুলো থেকে ডিজিটাল ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি।

উপরোক্ত সুযোগ সুবিধা গুলোর জন্যই মূলত প্রতিনিয়ত ডিজিটাল ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বর্তমানে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণকারী গ্রাহকদের কাছে ডিজিটাল ব্যাংক খুবই জনপ্রিয় এবং সুপরিচিত।

ডিজিটাল ব্যাংক এর অসুবিধা

সাধারণ ব্যাংকগুলো থেকে ডিজিটাল ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা অনেক অংশে বেশি হলেও ডিজিটাল ব্যাংকের কিছু অসুবিধা রয়েছে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিজিটাল ব্যাংকের অসুবিধা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য।

১. সীমিত সেবা

ডিজিটাল ব্যাংকের একটি বড় অসুবিধা হলো এর সীমিত গ্রাহক সেবা অর্থাৎ সাধারণ ব্যাংকগুলোর মতো অধিক পরিমাণ গ্রাহক সেবা ডিজিটাল ব্যাংক থেকে দিতে পারে না।

ডিজিটাল ব্যাংকের যেহেতু কোনো শাখা বা ব্রাঞ্চ নেই সেহেতু এর সকল ধরনের ব্যাংকিং সেবা বা গ্রাহক সেবা মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে দেয়া হয় এবং এক্ষেত্রে গ্রাহক সেবা খুবই সীমিত হয়ে থাকে।

২. সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি

ডিজিটাল ব্যাংকের সকল ধরনের কার্যক্রম এবং লেনদেন অনলাইনের মাধ্যমে হয়ে থাকে যার ফলে ডিজিটাল ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তায় ঝুঁকি থেকে যায়।

যেহেতু সকল কার্যক্রম এবং লেনদেন অনলাইনের মাধ্যমে হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ব্যাংকের বিভিন্ন ইনফরমেশন লিক হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে হ্যাক হয়ে যাওয়া পর্যন্ত নানা ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি থেকেই যায়।

তাই সাইবার নিরাপত্তার দিক থেকে বিবেচনা করলে ডিজিটাল ব্যাংকিং এর একটি বড় অসুবিধা উপলব্ধি করা যায়।

৩. প্রযুক্তি নির্ভরতা

ডিজিটাল ব্যাংকিং এর আরো একটি বড় সমস্যা হলো এটি প্রযুক্তির নির্ভর অর্থাৎ ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে গ্রাহকরা ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবে না।

প্রযুক্তিগত সমস্যা , বিভ্রাট বা ইন্টারনেট সংযোগে বাধা থাকলে গ্রাহকরা তাদের একাউন্টে এক্সেস করা বা লেনদেন পরিচালনা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং সম্পূর্ণভাবে প্রযুক্তির উপর নির্ভর থাকায় ডিজিটাল ব্যাংক ব্যবহারকারীগণ বিভিন্ন ধরনের অসুবিধায় পড়েন।

৪. প্রযুক্তি জ্ঞানের অভাব

ডিজিটাল ব্যাংক ব্যবহার করে ব্যাংকিং সেবা পেতে হলে গ্রাহকদের অবশ্যই প্রযুক্তির জ্ঞান রাখতে হবে আর তাই যে সকল গ্রাহকদের প্রযুক্তির জ্ঞান কম তারা ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারে না।

তবে এক্ষেত্রে সাধারণ ব্যাংক গুলো গ্রাহকদের ব্যক্তিগতভাবে সহায়তা করতে পারে যা ডিজিটাল ব্যাংক করতে পারে না এবং এই কারণে অনেক গ্রাহকদের কাছে সাধারণ ব্যাংকগুলো ডিজিটাল ব্যাংক থেকে বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে।

৫. বিশ্বাস ও পরিচিতি

ডিজিটাল ব্যাংক যেহেতু অনলাইনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে এবং তাদের কোনো ধরনের ব্রাঞ্চ বা এটিএম বুথ থাকেনা সে কারণে অনেকেই ডিজিটাল ব্যাংক এর ব্যাংকিং সেবাকে বিশ্বাস করতে পারে না এবং পরিচিতি কম থাকায় অনেকেই এর সম্পর্কে অবগত থাকে না।

অনেক গ্রাহক আছে যারা সশরীরে উপস্থিত থেকে একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যাংকিং লেনদেন করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে আর এক্ষেত্রে সরাসরি গ্রাহক সেবা দিতে না পারায় গ্রাহকরা ডিজিটাল ব্যাংক এড়িয়ে চলে এবং সাধারণ ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে লেনদেন করে থাকে যা ডিজিটাল ব্যাংকের বেশ বড় একটি অসুবিধা।

ডিজিটাল ব্যাংক বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় একটি ব্যাংকিং ব্যবস্থা হলেও উপরোক্ত অসুবিধা গুলোর জন্য এটি সাধারণ ব্যাংগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে বলেই ধারণা করা যায়।

শেষ কথা

ডিজিটাল ব্যাংক বর্তমানে একটি জনপ্রিয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা। বাংলাদেশে খুব শিঘ্রই ডিজিটাল ব্যাংকি সেবা চালু হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স নিয়েছে। আশা করি, বাংলাদেশেও একটি নতুন ধারণা ও সম্ভাবনার সৃষ্টি করবে বলে আশা করা যায়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *